পল্লী বিদ্যুতের প্রধান অর্জন হলো, দেশের গ্রামীন এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া এবং জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা। ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) প্রতিষ্ঠার পর থেকে, তারা ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মাধ্যমে দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধা দিয়েছে। এর ফলে গ্রামীণ অর্থনীতিতে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন, বিশেষ করে শিল্প ও কৃষি খাতে এর প্রভাব পড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে।
পল্লী বিদ্যুতের উল্লেখযোগ্য কিছু অর্জন হলো:
-
শতভাগ বিদ্যুতায়ন:বিআরইবি ৪৬১টি উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় এনেছে, যা দেশের উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
-
গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি:প্রায় ৩ কোটি ৬৯ লক্ষ গ্রাহক বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে, যা দেশের বিদ্যুৎ খাতের একটি বড় অর্জন।
-
সিস্টেম লস হ্রাস:বিদ্যুৎ বিতরণে সিস্টেম লস কমানো হয়েছে, যা সিস্টেমটির কার্যকারিতা বাড়িয়েছে।
-
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ:পল্লী বিদ্যুৎ নিরবচ্ছিন্ন, সাশ্রয়ী ও নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
-
গ্রামীণ অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব:বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতিতে নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে, বিশেষ করে শিল্প ও কৃষি খাতে উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে।
-
"আমার গ্রাম আমার শহর" বিনির্মাণে সহায়তা:পল্লী বিদ্যুতের কার্যক্রম "আমার গ্রাম আমার শহর" এই স্লোগানকে বাস্তবায়নে সহায়তা করছে।
-
উদ্ভাবনী কার্যক্রম:পল্লী বিদ্যুৎ "আলোর গেরিলা" দল গঠন করে দুর্যোগকালীন সময়ে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল রাখতে কাজ করছে।
পল্লী বিদ্যুতের এই অর্জনগুলো দেশের গ্রামীণ জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।