পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলোর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাগুলোর মধ্যে রয়েছে: স্মার্ট গ্রিড স্থাপন, সিস্টেম অটোমেশন, জিআইএস ম্যাপিং, এবং উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ বিতরণ ও ব্যবস্থাপনাকে আরও আধুনিক ও দক্ষ করে তোলা। এছাড়া, অনলাইনে বিল পরিশোধের ব্যবস্থা, লোডশেডিং-এর পূর্বাভাস এবং জ্বালানি সংকট মোকাবেলার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলোর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাগুলোর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য দিক নিচে দেওয়া হলো:
স্মার্ট গ্রিড বাস্তবায়ন:স্মার্ট গ্রিড সিস্টেমের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিতরণ এবং ব্যবস্থাপনাকে আরও আধুনিক ও কার্যকর করা হবে। এতে করে বিদ্যুতের অপচয় রোধ করা এবং গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সহজ হবে।
সিস্টেম অটোমেশন:সিস্টেম অটোমেশন এর মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা আরও স্বয়ংক্রিয় করা হবে, যা ত্রুটি সনাক্তকরণ এবং মেরামত প্রক্রিয়াকে দ্রুত করবে।
জিআইএস ম্যাপিং:জিআইএস (জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম) ব্যবহার করে বিদ্যুৎ বিতরণ লাইনগুলোর একটি ডিজিটাল ম্যাপ তৈরি করা হবে। এটি সিস্টেম রক্ষণাবেক্ষণ এবং নতুন সংযোগ প্রদানে সহায়ক হবে।
ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম অটোমেশন:ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমের অটোমেশন করে ত্রুটি সনাক্তকরণ এবং মেরামতের সময় কমিয়ে আনা হবে।
অনলাইনে বিল পরিশোধ:গ্রাহকদের জন্য অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের ব্যবস্থা করা হবে, যা তাদের জন্য সুবিধাজনক হবে।
লোডশেডিং এর পূর্বাভাস:সম্ভাব্য লোডশেডিং এর পূর্বাভাস দেওয়া হবে, যা গ্রাহকদের বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরিকল্পনা করতে সহায়তা করবে।
জ্বালানি সংকট মোকাবেলা:জ্বালানি সংকট মোকাবেলার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হবে, যেমন - নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করা এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য সচেতনতা তৈরি করা।
প্রযুক্তিগত উন্নয়ন:ফাইবার অপটিক ক্যাবল স্থাপন করে নেটওয়ার্কের উন্নয়ন করা হবে, যা ডেটা স্থানান্তরে আরও গতি আনবে।
এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলো গ্রাহকদের জন্য নির্ভরযোগ্য, সাশ্রয়ী এবং আধুনিক বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে চায়।